চুনারুঘাটে পাগল পেটানোর মামলায় ১ আসামী কারাগারে
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে স্কুল শিক্ষক পিতাকে ধাক্কা দেয়ার অভিযোগে এক মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে পিটানোর ঘটনায় মামলার ১নং আসামী বকুল মিয়া (৪২) সেচ্ছায় আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান।আদালত জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেনণ করেন।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে হবিগঞ্জ আদালতে হাজির হলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আদালতে বকুল হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান তাঁকে কারাগারে পাটানোর নির্দেশ দেন।
তিনি উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের স্কুল শিক্ষক আব্দুল মোতালিব ছেলে।
উল্লেখ, উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের আসামপাড়া বাজারে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাগল ব্যাক্তিটি এক শিক্ষকের গায় ধাক্কা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ৩ ছেলে পাগলটিকে মারপিট করে মারাত্মক আহত করে। যা
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে তাৎক্ষণিক একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। নিন্দার ঝড় উঠে। ভিডিও ভাইরালের পর মানুষ নিন্দা জানিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করে
পোস্টে দেখা যায় হামলার শিকার হন একজন মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তি। আসামপাড়া বাজারের বাসিন্দা আব্দুল মোতালিব শিক্ষকের সঙ্গে ধাক্কা লাগে এক পাগলের।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তার ছেলে ব্যবসায়ী বকুল, মুকুল ও শেকুল লাঠি দিয়ে ওই মানসিক ভারসাম্যহীন ব্যক্তিকে বেধড়ক পিটায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে রক্ষা করে। এ ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনায় তিনদিন পর সিনিয়র সাংবাদিক নুরুল আমিন বাদী হয়ে গত ১৬ মার্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক নুরুল আমিন জানান, মারপিটের ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। মামলা দায়েরের পূর্বেআমি আসামীদের কাউকে আগে চিনতামই না।
পাগল পেঠানোর ভিডিও দেখে প্রথমে সত্যতা জানার চেষ্টা করি তারপর একটা পোষ্ট দেই। তিনি আরো বলেন
যে পাগলকে পেঠানো হয়েছে তাকেও চিনি না। তার সাথে কখনও দেখা হয়নি হলেও অনেক দুর থেকে।
তিনি আরো বলেন, ৩ দিন অতিবাহিত হবার পরও দায়িত্বশীল কেউ অথবা ঘটনায় জড়িতরা কেউ অনুতপ্ত হননি। পাগলকে খুশিও করেনি। মামলা একটা আইনি অধিকার। সে দায়িত্ব থেকে মামলা করেছি।