গুজরাটের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির কোনও আরোহী বেঁচে নেই।
ভারতের গুজরাটের আহমেদাবাদে বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির কোনও আরোহী বেঁচে নেই বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বিমানটি একটি মেডিকেল কলেজের ডাক্তারদের হোস্টেলে আছড়ে পড়ে। এতে ওই হোস্টেলের পাঁচজন ছাত্র নিহত হয়। হোস্টেলের একটি ডাইনিং হলের দেয়াল ভেদ করে ধ্বংসাবশেষ ছড়িয়ে পড়েছে বলে দেখা গেছে।
এদিকে, দুর্ঘটনাস্থলে উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও অন্যান্য সংস্থার কর্মীরা।
বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৩৮ মিনিটে আহমেদাবাদের সরদার ভল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে বোয়িং ৭৮৭-৮ উড়োজাহাজটি উড্ডয়ন করে। এর ঠিক ৫ মিনিট পরেই বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটটি লন্ডনের গ্যাটউইকে যাচ্ছিলো। বিমানের যাত্রীদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয় ও ৬১ জন বিদেশি যাত্রী ছিল। বিদেশিদের মধ্যে ৫৩ জন ব্রিটিশ, ৭ জন পর্তুগীজ ও একজন কানাডিয়ান ছিলেন। এছাড়া, পাইলট ও ক্রু ছিলেন ১২ জন।
এদিকে, ভারতের বেসামরিক বিমান পরিবহন নিয়ন্ত্রক ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) বিমানটির পাইলটদের তথ্য প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়, বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল একজন এলটিসি (লাইন ট্রেনিং ক্যাপ্টেন) ছিলেন, অর্থাৎ তিনি অন্য পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিতেন। তার ৮২০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল। আর কো-পাইলটের ১১০০ ঘণ্টা বিমান চালানোর অভিজ্ঞতা ছিল।
দুর্ঘটনার আগে বিপদ সংকেত পাঠিয়েছিলেন বিমানটির পাইলট ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল। পরে পরে আহমেদাবাদ এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল বা এটিসি থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি