হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি’র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সীমান্তে নিরাপত্তা সংক্রান্ত মিডিয়া ব্রিফিং
হবিগঞ্জবাসীকে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার অগ্রিম শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান, লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ তানজিলুর রহমান, অধিনায়ক, হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি)।
মিডিয়া ব্রিফিং এ আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সীমান্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা, গবাদি পশু ও চামড়া চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবি কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম, সীমান্ত দিয়ে পুশইন প্রতিরোধে, ঈদের জামাতের নিরাপত্তা বিধান ও সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে আমাদের প্রস্তুতি সম্পর্কে আপনাদের অবহিত করবো।
আসন্ন ঈদ-উল-আযহাকে কেন্দ্র করে গরু চোরাচালান ও চামড়া পাচার প্রতিরোধে সরাইল রিজিয়নের আওতাধীন শ্রীমঙ্গল সেক্টরের অধীনস্থ হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) কর্তৃক সীমান্ত এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
আপনারা ইতোমধ্যে অবগত আছেন যে, এ বছর দেশের অভ্যন্তরে কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ০১ কোটি। অথচ সরকারি তথ্য অনুযায়ী দেশের খামারগুলোতে প্রায় ০২ কোটি গবাদি পশু মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র হবিগঞ্জ জেলাতেই ০৭ হাজার ২০০টিরও বেশি ছোট বড় পারিবারিক খামার রয়েছে। যেখানে পশুর চাহিদা প্রায় ৭০ হাজার, সেখানে মজুদ রয়েছে প্রায় ৭৫ হাজার পশু।
সুতরাং, গরু চোরাচালানের কোন যৌক্তিকতা নেই এবং এটি দেশের অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর। দেশীয় খামারিদের স্বার্থরক্ষা ও বাজার স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে ৫৫ বিজিবি কর্তৃক সীমান্তে সর্বোচ্চ নজরদারি, গোপন তথ্য সংগ্রহ, তথ্য-প্রযুক্তি, ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। একইভাবে, ঈদের পর কোরবানির চামড়া যাতে সীমান্ত দিয়ে পাচার না হয়, সেজন্য ৫৫ বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সম্প্রতি সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ ও পুশইন প্রতিরোধে ৫৫ বিজিবি কর্তৃক সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং নিয়মিত পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ এর কাছে মৌখিক ও লিখিতভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ০১ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ হতে অদ্যাবধি হবিগঞ্জ ব্যাটালিয়ন (৫৫ বিজিবি) কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন চোরাচালানী অভিযানে প্রায় ১৭ কোটি ৪০ লক্ষ ১৬ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার পণ্য, মাদকদ্রব্য এবং যানবাহন জব্দ করা হয়েছে।
ঈদের দীর্ঘ ছুটিতে দেশের জনগণ যাতে নির্বিঘ্নে ঈদ উদ্যাপন করতে পারে সেজন্য বিজিবি সদস্যরা তারা তাদের ছুটির চিন্তা না করে, সীমান্তের নিরাপত্তা বিধান, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং ঈদ জামায়াতসহ সার্বিক নিরাপত্তা বিধানে সদা সচেষ্ট ও তৎপর আছে এবং থাকবে।
বিজিবি সবসময় দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সীমান্তে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করে যাবে।