ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ ১২ দিনের ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধের ঘটনা প্রবাহ।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার রাতে ইরান-ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। হোয়াইট হাউসে দেওয়া বিবৃতিতে তিনি জানান, ‘আমরা আর যুদ্ধ চাই না, আমরা শান্তি চাই।’ এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে টানা ১২ দিন ধরে চলা ইসরায়েল-ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সরাসরি সংঘাত আপাতত কিছুটা থেমেছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ১২ দিনের ঘটনাপ্রবাহ:
১৩ জুন ২০২৫ : ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের ছয় শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, ৯ পরমাণু বিজ্ঞানীসহ অন্তত ২৯ জন। পাল্টা জবাবে ইরান শতাধিক ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে, যার কিছু তেল আবিবে আঘাত হানে– ৩৫ জন হতাহত হয়।
১৪ জুন ২০২৫ : ইসরায়েল তেহরানের তেল ডিপো, সেন্ট্রিফিউজ ল্যাব ও প্রতিরক্ষা গবেষণা কেন্দ্র ধ্বংস করে। জবাবে তেল আবিব ও হাইফা লক্ষ্য করে ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। নিহত ২, আহত ৬০ জনের বেশি।
১৫ জুন ২০২৫ : ইসরায়েল মাশহাদের কাছে রিফুয়েলিং বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। পাল্টা ইরানি হামলায় ইসরায়েলের বাট ইয়ামে ৯ জন নিহত, আহত ২০০, ক্ষতিগ্রস্ত ৬১ ভবন।
১৬ জুন ২০২৫ : তেহরানের বিমানঘাঁটি, এফ-১৪ ও ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলা। ইরান ছোড়ে ৪০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন, লক্ষ্যভেদ করে প্রায় ৩৫টি।
১৭ জুন ২০২৫ : ইরানে বেসামরিক হতাহতের পর জবাব দেয় ইরান। ইসরায়েলের আবাসিক এলাকায় হামলায় আহত হয় ২০০-এর বেশি।
১৮ জুন ২০২৫ : তেহরান ও কারাজের সেন্ট্রিফিউজ প্লান্টসহ ৪০টি স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলা। পাল্টা ইরানি হামলায় বিস্ফোরণ ঘটে তেল আবিব ও জেরুজালেমে।
১৯ জুন ২০২৫ : ইরান ২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ও দুটি ড্রোন ছোড়ে ইসরায়েলের দিকে; আহত হয় অন্তত ৭১ জন। ইসরায়েল হামলা চালায় আরাকের হেভি-ওয়াটার রিয়্যাক্টরে।
২০ জুন ২০২৫ : সংঘাতের এক সপ্তাহ পূর্ণ হয়। নিহত ৬৫৭ ইরানি ও ২৪ ইসরায়েলি।
২১ জুন ২০২৫ : যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়। ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’-এর আওতায় বি-২ বোমারু বিমান ও সাবমেরিন থেকে ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানের পরমাণুকেন্দ্রে বাঙ্কার-বাস্টার বোমা নিক্ষেপ।
২২ জুন ২০২৫ : ইরান যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে হস্তক্ষেপ না করতে। আইএইএ জানায়, পারমাণবিক কেন্দ্র থেকে বড় ধরনের তেজস্ক্রিয়তা ছড়ায়নি। ইরানি হামলায় ইসরায়েলের ১০ স্থানে আহত অন্তত ১১।