ঢাকা ০৩:২৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগুনে পুড়লো সাতছড়ির জাতীয় উদ্যানের দেড় কিঃমিটার এলাকা।

কাজী মাহমুদুল হক সুজন:

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কেউ ধূমপান শেষে জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ উদ্যানের ফেলে দেন। পরে শুকনা পাতা থাকায় আগুন ধরে যায়।

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ উদ্যানে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলেন। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের নিম্ন ভাগ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কামাল মিয়া বলেন, ‘কারও ফেলা জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে এসে বন থেকে দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি। না হলে পুরো উদ্যানে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নির্ধারণ করা যাবে।’
বন রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত সহব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য দ্বিপন বলেন, ‘কাইয়ূম নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের আগুন লাগার বিষয়টি জানান। আমরা এসে দেখি, চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আগুনে মূলত শুকনো পাতা পুড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও কিছু প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে সবার সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বনাঞ্চলের ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
৬ বার পড়া হয়েছে

আগুনে পুড়লো সাতছড়ির জাতীয় উদ্যানের দেড় কিঃমিটার এলাকা।

আপডেট সময় ০৬:৩৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫

হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে অগ্নিকাণ্ডে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের পুড়ে গেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, কেউ ধূমপান শেষে জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ উদ্যানের ফেলে দেন। পরে শুকনা পাতা থাকায় আগুন ধরে যায়।

বন বিভাগ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এক মোটরসাইকেল আরোহী হঠাৎ উদ্যানে আগুন দেখতে পান। পরে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় ছড়িয়ে থাকা শুকনো পাতা সরিয়ে ফেলেন। এতে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে ততক্ষণে প্রায় দেড় কিলোমিটার বনাঞ্চলের নিম্ন ভাগ পুড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কামাল মিয়া বলেন, ‘কারও ফেলা জ্বলন্ত সিগারেটের অংশ থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। খবর পেয়ে এসে বন থেকে দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন বড় আকার ধারণ করতে পারেনি। না হলে পুরো উদ্যানে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তদন্তের পর নির্ধারণ করা যাবে।’
বন রক্ষায় স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত সহব্যবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) সদস্য দ্বিপন বলেন, ‘কাইয়ূম নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী আমাদের আগুন লাগার বিষয়টি জানান। আমরা এসে দেখি, চারদিকে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দ্রুত শুকনো পাতা সরিয়ে নেওয়ায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।’
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে দায়িত্বপ্রাপ্ত রেঞ্জ কর্মকর্তা মামুন বলেন, ‘আগুনে মূলত শুকনো পাতা পুড়েছে। বড় ধরনের ক্ষতি না হলেও কিছু প্রাণী ও জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। তবে সবার সহযোগিতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি।’

এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বনাঞ্চলের ক্ষতি এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর এর প্রভাব নির্ধারণে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/dainikprohor/public_html/wp-includes/functions.php on line 5464