ঢাকা ০৫:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

চুনারুঘাটের সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে ১১ জন রয়েছে নারী।

নিজস্ব সংবাদ :

Qq

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশীকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।একই পরিবারের রয়েছে ৫ জন নারী পুরুষ।
সোমবার ( ২৬ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, কালেঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার জাকারিয়া।
খবর পেয়ে কালেঙ্গা ক্যাম্পে আসেন হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক (এডি) হাবিবুর রহমান ও চুনারুঘাটের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম।
জানা যায় রবিবার গভীর রাতের যেকোনো সময় কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের গেইট  খুলে ১৯ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়।
পুশইন লোকজন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দ। তারা বিশ বছর পুর্বে রুটি রুজির তাগিদে ভারতের হরিয়ানায় ইটভাটাই শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানান।
ভারত থেকে আসা ইসলাম উদ্দিন জানায়,রবিবার রাতে তাদের ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধৃত করে চোখ বেধে গাড়িতে করে বাংলাদেশের সীমান্তের কিছু আগে নামায়। তারপর চোখের কাপড় খুলে বাংলাদেশের সীমান্তে দিলে তারা বাংলাদেশের কালেঙ্গা সীমান্তে একটি গ্রামে আসে।
এক পর্যায়ে তারা শুনতে পায় ফজরের আযান হচ্ছে। তারা মসজিদের কাছে রেস্ট নেয়। পরে স্থানীয় মেম্বারের আশ্রয় নেয়। পরে বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন,চুনারুঘাট পুলিশ ঘটনার স্থানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

তারা হলো-আলী হোসেন (৬৫), স্ত্রী কিসমন (৫৪), ছেলে ইসলাম (২৬), ইসমাইল (২৪), মেয়ে আফরোজা (২৯), ছেলের  স্ত্রী জেসমিন (২৩), মেয়ে  রেশমা (৫), ছেলের স্ত্রী কাকলি বেগম (২২), ছেলে শাহজাহান (২), নিলুফা (১১), ওবায়দুর (৫০), ফাতেমা বেগম (৪৫), ইয়াসমিন (১৪), আবুল মিয়া (৫২),জাহানারা (৪০), আলম (১১), রবিউল (১৪), ছখিনা (৬০), পুরুষ ৮ জন মহিলা ১১ জন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহবুব আলম মাহবুব, বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুশইনকৃত নারী পুরুষদের আমরা উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে এসেছি।
চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান,পুশইন কৃতদের নিরাপত্তার সার্থে প্রিজন ভ্যানের মাধ্যমে আদালতে পাটানো হয়েছে।

ট্যাগস :

নিউজটি শেয়ার করুন

আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫
১১ বার পড়া হয়েছে

চুনারুঘাটের সীমান্ত দিয়ে ১৯ জনকে পুশ ইন করেছে বিএসএফ। এর মধ্যে ১১ জন রয়েছে নারী।

আপডেট সময় ১১:৫১:২৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ মে ২০২৫

Qq

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ১৯ জন বাংলাদেশীকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এর মধ্যে ৮ জন পুরুষ ও ১১ জন নারী।একই পরিবারের রয়েছে ৫ জন নারী পুরুষ।
সোমবার ( ২৬ মে) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, কালেঙ্গা বিজিবি ক্যাম্পের হাবিলদার জাকারিয়া।
খবর পেয়ে কালেঙ্গা ক্যাম্পে আসেন হবিগঞ্জ ৫৫ বিজিবি’র সহকারী পরিচালক (এডি) হাবিবুর রহমান ও চুনারুঘাটের সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহবুব আলম।
জানা যায় রবিবার গভীর রাতের যেকোনো সময় কালেঙ্গা সীমান্ত দিয়ে কাঁটাতারের গেইট  খুলে ১৯ জন নারী-পুরুষকে বাংলাদেশে পুশ ইন করা হয়।
পুশইন লোকজন বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী ও নাগেশ্বরী উপজেলার বাসিন্দ। তারা বিশ বছর পুর্বে রুটি রুজির তাগিদে ভারতের হরিয়ানায় ইটভাটাই শ্রমিকের কাজ করতেন বলে জানান।
ভারত থেকে আসা ইসলাম উদ্দিন জানায়,রবিবার রাতে তাদের ভারতীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের ধৃত করে চোখ বেধে গাড়িতে করে বাংলাদেশের সীমান্তের কিছু আগে নামায়। তারপর চোখের কাপড় খুলে বাংলাদেশের সীমান্তে দিলে তারা বাংলাদেশের কালেঙ্গা সীমান্তে একটি গ্রামে আসে।
এক পর্যায়ে তারা শুনতে পায় ফজরের আযান হচ্ছে। তারা মসজিদের কাছে রেস্ট নেয়। পরে স্থানীয় মেম্বারের আশ্রয় নেয়। পরে বিজিবি, উপজেলা প্রশাসন,চুনারুঘাট পুলিশ ঘটনার স্থানে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।

তারা হলো-আলী হোসেন (৬৫), স্ত্রী কিসমন (৫৪), ছেলে ইসলাম (২৬), ইসমাইল (২৪), মেয়ে আফরোজা (২৯), ছেলের  স্ত্রী জেসমিন (২৩), মেয়ে  রেশমা (৫), ছেলের স্ত্রী কাকলি বেগম (২২), ছেলে শাহজাহান (২), নিলুফা (১১), ওবায়দুর (৫০), ফাতেমা বেগম (৪৫), ইয়াসমিন (১৪), আবুল মিয়া (৫২),জাহানারা (৪০), আলম (১১), রবিউল (১৪), ছখিনা (৬০), পুরুষ ৮ জন মহিলা ১১ জন।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভুমি) মাহবুব আলম মাহবুব, বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুশইনকৃত নারী পুরুষদের আমরা উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানায় নিয়ে এসেছি।
চুনারুঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম জানান,পুশইন কৃতদের নিরাপত্তার সার্থে প্রিজন ভ্যানের মাধ্যমে আদালতে পাটানো হয়েছে।


Notice: ob_end_flush(): failed to send buffer of zlib output compression (0) in /home2/dainikprohor/public_html/wp-includes/functions.php on line 5471