লাখাইয়ে পুলিশের কাছ থেকে আসামি ছিনতাই
হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার স্বজন গ্রাম থেকে আসামিকে গ্রেপ্তারের পর তাঁকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় দেশীয় অস্ত্রের দ্বারা মারপিটে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। রবিবার ২৩ মার্চ বিকালে উপজেলার শিবপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হরিছ মিয়া ছেলে আশিক মিয়া নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তারের পর এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় লোকজনের দাবি আওয়ামী লীগ নেতা হরিছ মিয়া ও তার ছেলে সহ অনেক লোকজনের নামে কয়েকটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, প্রথমে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে এক হাতে হাতকড়া পরায়। স্বজন গ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে যায় সেখান থেকে লাখাই থানাতে নেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের অন্তত এক ডজন লোক পুলিশের ওপর হামলে পড়ে। তারা আসামিকে ছিনিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি মারামারি হয়।
স্হানীয় লোকজন জানায় উপজেলার শিবপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা হারিছ মিয়ার ছেলে আসিক মিয়াকে গ্রেফতারের পর হারিছ মিয়া আমানুল্লাপুরের এডাঃ শামিউল আলম সানি, মৃত হাজী করিম হোসেনের ছেলে বাচ্চু মিয়া, বাচ্চু মিয়া রাসেল আহাম্মদ, সেলিম মিয়া, পশ্চিম রুহিতনসী গ্রামের মৃত লাল মিয়ার ছেলে হাফিজুর ইসলাম পশ্চিম স্বজনগ্রামের জিলু মিয়া সালাম মিয়া, বরজু মিয়া, শওকত আকবার, শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জসিম মিয়া, বিজয়কান্তি দাস অষ্ট , প্রিয়তোষ দাস সহ ৩০/৩৫ জন লোক স্বজন গ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে প্রবেশ করে পুলিশ কে মারপিট করে চিনিয়ে নিয়ে য়ায়
এ বিষয়ে এস আই ফারুক মিয়া বলেন লাখাই থানাতে নিয়ে যাওয়ার সময় সালামের দোকানের সামনে সিএনজি নিয়ে আসার সময় ২৫ /৩০ জন লোক দেশীয় অস্ত্র সিএনজি আটকে দা দিয়ে আক্রমণ করে। তিনি আরো বলেন আমাকে কামড় দিয়ে দা দিয়ে আঘাত করে,
এ ব্যাপারে লাখাই থানা ওসি বন্দে আলীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,আমরা হ্যান্ডকাপ পড়ানো আসামি সহ সকল আসামীদের কে ধরতে অভিযান চালিয়েছি। এবং হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান এর দিকনির্দেশনা ও সদর সার্কেলের এএসপি শহিদুল ইসলাম মুন্সির নেতৃত্বে আমরা সক্রিয় অভিযানে আছি।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার এ এন এম সাজেদুর রহমান এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান হ্যান্ডকাপ পরিহিত পলাতক আসামী কে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে পুলিশ।