দেশে তলিয়ে যাওয়া ফুটবলকে উদ্ধার করতে আজ আসছেন হামজা চৌধুরী।
দেশে তলিয়ে যাওয়া ফুটবলকে উদ্ধার করতে আজ আসছেন হামজা চৌধুরী। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের নিয়মিত দর্শকের কাছে তিনি ‘ডেস্ট্রয়ার’। ঝাঁকড়া চুলের এই বিধ্বংসী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার প্রতিপক্ষের আক্রমণ নস্যাৎ করায় দারুণ দক্ষ। লিস্টার সিটির সেই হামজা বর্তমানে ধারে শেফিল্ডের হয়ে খেলছেন। ক্লাবের সেই দায়িত্ব সামলেই এবার মাতৃভূমি বাংলাদেশের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে শিলংয়ে ২৫ মার্চ এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচে লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক হবে তাঁর। ১৮৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশের ফিফা র্যাঙ্কিং এগিয়ে নিতে, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব পুনরুদ্ধার করতে এবং প্রতিপক্ষের সামনে সমীহ আদায় করতেই হামজা চৌধুরী আসছেন। ইংলিশ লিগে খেলা কোনো ফুটবলারের এই প্রথম বাংলাদেশ দলে আগমন। তাই তাঁকে বরণ করতে প্রস্তুত তাঁর জন্মভিটা হবিগঞ্জের স্নানঘাটের মানুষ।
এর আগে অনেকবারই নিজের গ্রামের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় হামজা দেওয়ান চৌধুরীর পরিচয় ছিল ‘ইংলিশম্যান’। বাংলাদেশি মা রাফিয়া চৌধুরীর পরিচয়ে বাহারি চুলের স্টাইলে নানা রঙের সাজে গ্রামে গেলেও হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার স্নানঘাটের মানুষ তাঁকে চিনত বিদেশি হিসেবেই! কারণটাও স্বাভাবিক, সেই সময় ব্রিটিশপ্রবাসী হামজা বাংলাদেশি হননি। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গত বছর কাগজে-কলমে বাংলাদেশি হওয়ার পরই এ ফুটবলার হয়ে ওঠেন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গত ডিসেম্বরে প্রিমিয়ার লিগের সাবেক চ্যাম্পিয়ন লিস্টার সিটিতে খেলার সময় হামজাকে লাল-সবুজের জার্সি গায়ে জড়ানোর অনুমতি দেয় ফিফা। এরপর শুরু হয় ক্ষণগণনা। কবে বাংলাদেশে আসবেন ২৭ বয়সী শেফিল্ড ইউনাইটেডের তারকা। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটছে আজ। বাংলাদেশি পাসপোর্ট হাতে নিয়ে আজ সোমবার সিলেট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেলা ১২ টায় নামবেন তিনি। সেখান থেকে গাড়িতে সরাসরি চলে যাবেন নিজ গ্রামে। ১১ বছর পর নিজ গ্রামে যাচ্ছেন হামজা। তাঁর আগমন ঘিরে উন্মাদনা বইছে দেশের ফুটবলপ্রেমীর মধ্যে।বইছে নিজ এলাকায় উৎসবের আমেজ।
সকলের প্রত্যাশা দেশে তলিয়ে যাওয়া ফুটবলকে হামজা চৌধুরী উদ্ধার করে বিশ্ব দরবারে তাক লাগিয়ে দিবেন।











